শিরোনাম
Home / অন্যরকম / টঙ্গীবাড়ীতে নিজ কন্যাকে ৩ বছর ধরে ধষর্ণঃ গ্রাম্য মসজিদের পঞ্চায়েতে বিচার দাবী

টঙ্গীবাড়ীতে নিজ কন্যাকে ৩ বছর ধরে ধষর্ণঃ গ্রাম্য মসজিদের পঞ্চায়েতে বিচার দাবী

[ A+ ] /[ A- ]

নিজস্ব প্রতিনিধি-
টঙ্গীবাড়ী উপজেলার নয়া দিঘিরপাড় গ্রামে পিতা কর্তৃক ৩ বছর যাবৎ নিজ কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ করেছে ধর্ষিতা। একই অভিযোগে ধর্ষিতার দাদা হাসেম রাঢ়ী নিজ ধর্ষক পুত্র রুহুল আমিন রাঢ়ীর বিরুদ্ধে ওই এলাকার নয়া দিঘিরপাড় জামে মসজিদে শুক্রবার পাঞ্চায়েতে বিচার দাবী করেছেন। ঘটনাটি এলাকায় প্রচার হওয়ার পর হতে ১ সপ্তাহ যাবৎ ধর্ষক পিতা এলাকা হতে গাঁ ঢাকা দিয়েছেন।

ওই এলাকার কতিপয় গ্রাম্য মাদবর ধর্ষকের কাছ হতে আড়াই লক্ষ টাকা খেয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানান, ধর্ষিতার চাচা মিনার হোসেন রাঢ়ী। ধর্ষিতা জানান, আমার মা আমার বাবার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আমি যখন দেড় বছর বয়সের আমায় ফেলে চলে যায়। পরে আমার বাবা দ্বীতিয় বিবাহ করে।

আমার বাবা রুহুল আমিন দির্ঘদিন যাবৎ সৌদি আরবে প্রবাস জীবন যাপন করে আসছে। ৩ বছর আগে আমার বাবা সৌদি হতে ফিরে আসলে আমার সৎ মা নানি বাড়ি বেড়াতে গেলে আমার বাবা আমার সাথে রাত্রি যাপন করে।

এ সময় আমার বাবা আমাকে বুকের উপর টেনে নিয়ে বলে আমি দির্ঘদিন বিদেশে ছিলাম তোকে আদর করতে পরিনি বলে বুকর উপর নিয়ে আমার কাপড় খুলতে শুরু করে। এ সময় আমি বাধা দিলে বলে তুমি সৎ না অসৎ সেটা একটু পরিক্ষা করে দেখবো বলে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমাকে ধর্ষণ করে। পরে আমায় আমার বাবার বন্ধু চট্রগ্রামের স্থাণীয় বাসিন্দা আমাকে দেখতে চেয়েছে বলে নিয়ে এক হোটেলে উঠে দির্ঘদিন আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। এছাড়াও আমার সৎ মা যখন নানা বাড়ি বা অন্য কোথায় বেড়াতে যেতো আমার বাবা আমাকে ধর্ষণ করতো। পরে আমি বিষয়টি আমার দাদা ও চাচাদের জানাইলে তারা আমাকে বিয়ে দেওয়ার ব্যাবস্থা করে। আমার অনেক ভাল স্থান হতে বিয়ের প্রস্তাব আসলেও আমার বাবা আমাকে সেখানে বিয়ে না দিয়ে নিজ ঘরে রেখে ধর্ষন করার জন্য ৪ বছর পর তুলে দেওয়ার শর্তে উপজেলার বায়াল গ্রামের খলিল গাজির ছেলে অটো চালক ১৭ বছরের কিশোর তানজিল গাজির সাথে বিয়ে ঠিক করে। এর পরেও আমায় বিভিন্নস্থানে নিয়ে ধর্ষণ করলে আমার দাদা ও চাচারা আমাকে আমার বরের ঘরে তুলে দেয়। আমি স্বামী গৃহে সংসার করতে থাকলে আমার বাবা আমার স্বামী গৃহে গিয়ে আমার শাশুড়িকে বলে আমার চাচাদের সাথে আমার অবৈধ সর্ম্পক রয়েছে বলে জানায় এবং আমার স্বামী তানজিল গাজির অটো বাইকটি অন্য মানুষ দিয়ে চুরী করিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমার শশুড় শাশুড়ি আমায় নির্যাতন করলে আমি বাবা বাড়িতে চলে আসি। বাবার বাড়ি আসার পর আমার বাবা আমাকে ঘরে একা পেয়ে আবারও ধর্ষনের চেষ্টা চালায় এবং বলে তোকে আমি স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে আমার গৃহে রেখে দিবে।

আমি না তোমার মেয়ে বাবাকে বললে বাবা বলে তুই আমার মেয়ে না। আমার বাবাকে আমি জানতে চাইলে সে বলে তোর মাকে গিয়ে জিজ্ঞাসা কর। শশুর বাড়ি এবং নিজ বাবার বাড়ির অত্যচার সহ্য করতে না পেরে পরে আমি পালিয়ে আমার বড় ফুফু লিলি বেগম এর বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলায় চলে যাই। লিলি বেগম জানান, ঈদ-উল-আযহার ১ দিন পর আমি আমার ধর্ষিতা ভাতিজিকে নিয়ে নিজ বাড়িতে এসে আমার ভাইকে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করে ওই বিষয়টি মিমাংসার কথা বললে আমার ধর্ষক ভাই আমাকে কোন পাত্তা দেয়নি।

সরেজমিনে ধর্ষিতার বাড়ি গেলে ওই নয়া দিঘির পাড় গ্রামের শত শত নারী ও পুরুষ এগিয়ে এসে সাংবাদিকদের কাছে ওই ধর্ষক পিতার বিচার দাবী করেছেন। ওই এলাকার স্থাণীয় মেহেদী হাসান জানান, ধর্ষক অনেক টাকার মালিক হওয়ায় এলাকার কতিপয় গ্রাম্য মাদবরকে টাকা দিয়ে উল্টো মেয়েটিকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। ধর্ষিতা আরো জানায়, আমার বাবা আমাকে খুন করবে বলে হুমকী দিচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email
সংবাদটি শেয়ার করতে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*