অবাধে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন ভেঙ্গে পরছে কৃষকের ফসলি জমি
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি- মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে ড্রেজার (মাটি খনন যন্ত্র) দিয়ে অবাধে মাটি কাটার ফলে কৃষকের ফসলি জমি ভেঙ্গে পরছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবারগুলো বিভিন্ন মহলে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা। জানাগেছে, উপজেলার খিদির পাড়া ইউনিয়নের বংখিরা গ্রামের মো. শরিফ তার এক টুকরো জমিতে খনন যন্ত্র বসিয়ে দির্ঘদিন যাবৎ মাটি কেটে বিক্রি করছে। তার ছোট একটি কৃষি জমিতে ড্রেজার লাগিয়ে পরিমানের চেয়ে অতিরিক্ত বালু উত্তোলন করায় আশপাশের বেশকিছু কৃষি জমি ও পুকুরের পাড় ভেঙ্গে পরেছে। আজ বুধবার (১৩ই জানুয়ারী) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বংখিরা গ্রামের শরীফ মিয়া তার ছোট একটি কৃষি জমিতে ড্রেজার লাগিয়ে গভীর খনন করে বালু বিক্রি করায় তার চারদিকে থাকা বেশ কয়েকটি জমি ও পুকুরের পাড় ভেঙ্গে পরেছে।
এতে ক্ষতিগ্রস্থ পাশের পুকুর মালিক মো. শহিদুল ইসলাম রনি জানান, শরীফ বিলের মাঝখানে তার জমি হতে অতিরিক্ত বালু উত্তোলন করায় আশপাশে থাকা বেশ কয়েকজন কৃষকের জমি ভেঙ্গে পরেছে। পাশাপাশি আমার একটি পুকুরের পাড় ভেঙ্গে পড়েছে। আমি শরিফ এবং ড্রেজারের মালিক শহীদকে বারবার বারন করার পরও তারা বাধাঁ মানছে না।
খনন করা জমিটির পুর্ব পাশে মো. হেলাল শেখের কৃষি জমি, পশ্চিম পাশে আব্দুল হাকিমের কৃষি জমি, উত্তর পাশে মো. নুরু মুন্সির কৃষি জমি ও দক্ষিন পাশে মো. শহীদুল ইসলাম রনির বাধাঁ পুকুর রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ্য ওই কৃষকরা জানান, এখোন দিনে মাটি না কেটে লোকজনের চোখের আড়ালে রাতের অন্ধকারে ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটছে শরিফ। এতে আমাদের চার দিকের ফসলি জমি ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
এই ব্যাপারে লৌহজং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মু. রাশেদুজ্জামান জানান, মাটি কাটা বন্ধ করার সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমি ইতিপূর্বে ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়ে ড্রেজারটি বন্ধ করে দিয়েছি। তবে যদি লুকোচুরি করে তা আবার পুনরায় চালু করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।