ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে ট্রাকে চড়ে রাতেও ঢাকায় ছুটছে মানুষ
মো. জুয়েল দেওয়ান-
ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কের মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় দিনভর ট্রাক পিক্যাপ ভ্যানে ভরে ঢাকামুখী মানুষ যাতায়াতের পর রাতেও ঢাকামুখী মানুষকে ৫ টনি ট্রাক এ পিক্যাপ ভ্যানে চরে ঢাকায় ফেরতে দেখা গেছে। আজ শনিবার (৩১ জুলাই) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে মহাসড়কের গজারিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গাদাগাদি করে যাত্রীদের ট্রাক ও পিক্যাপ ভ্যানে চড়ে ঢাকার দিকে ছুটতে দেখা যায়। রাত ৮টা হতে সাড়ে টার মধ্যে ১০/১২টি ট্রাক ও পিক্যাপ ভ্যান গজারিয়া বাস স্ট্যান্ড হয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিলো। এ সময় আইনশৃংখলা বাহিনীর কোন সদস্যকে ওই এলাকায় দেখা যায়নি।
চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে আগামীকাল রোববার থেকে শিল্প-কারখানা খুলে দেয়ার ঘোষণায় ভোর হতে গজারিয়া মহাসড়ক দিয়ে কর্মজীবী মানুষেরা ঢাকায় ফিরতে শুরু করে।
শনিবার সকাল থেকেই মহাসড়কের বাউশিয়া পাখির মোড়, দড়ি বাউশিয়া, ভবেরচর, ভাটেরচর, বালুয়াকান্দি ও জামালদী বাস ষ্ট্যান্ড থেকে
বৃষ্টি উপেক্ষা করে পণ্যবাহী ট্রাকে গাদাগাদি করে ঢাকায় ছুটে কর্মজীবী মানুষেরা। এতেনূন্যতম মানা হচ্ছবদিলো না স্বাস্থ্যবিধি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহসড়কের গজারিয়া অংশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ভেঙ্গে ভেঙ্গে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ভিড় করে ঢাকা মুখী যাত্রীরা। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ট্রাকে করে ঢাকার উদ্যোশে ছুটছে কর্মজীবী নিম্ন আয়ের এসব মানুষ। এতে যাত্রীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই ছিল না।
ঢাকামুখী যাত্রী আলম প্রধান বলেন, কোরবানির ঈদে বাড়ি এসেছিলাম। আগামীকাল আমাদের কারখানা খুলবে। গণপরিবহন বন্ধ। বাধ্য হয়ে ট্রাকে করে ঢাকায় যাচ্ছি। যেভাবেই হোক আজই ঢাকা পৌঁছাতে হবে। এজন্য ভাড়াও বেশি দিতে হয়েছে।
ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কামাল উদ্দিন জানান, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যে বিধিনিষেধ চলছে, তার অংশ হিসেবে আমরা বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়েছি। আইন উপেক্ষা না করে যাতে যাত্রীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করেন। আজ দেখছি যানবাহনের চাপ বেড়ে গেছে। ট্রাকের ওপরে করে লোকজন যাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়েছে। আমরা লোকজনকে বোঝাচ্ছি তাঁরা যাতে এভাবে না যায়। একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।