শিরোনাম
Home / টঙ্গীবাড়ী উপজেলা / টঙ্গিবাড়ীর পদ্মা নদীতে চাদাঁবাজীর কথা স্বীকার করে আদালতে যুবকের স্বীকারোক্তি

টঙ্গিবাড়ীর পদ্মা নদীতে চাদাঁবাজীর কথা স্বীকার করে আদালতে যুবকের স্বীকারোক্তি

[ A+ ] /[ A- ]

টঙ্গিবাড়ীর পদ্মা নদীতে চাদাঁবাজীর কথা স্বীকার করে আদালতে যুবকের স্বীকারোক্তি
নিজস্ব প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার পদ্মা নদীতেচাদাঁবাজি করার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন আটক যুবকইকবাল (৩০)। আজ  সোমবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জ আদালতেরসিনিয়র জুডিশিয়্যাল ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম এর আদালতে এই স্বীকরোক্তিমূলক জবানবন্দিদেন বলে জানান মুন্সীগঞ্জ কোর্ট পুলিশের ইন্সপ্রেক্টর জামালউদ্দিন।
আর আগে   রবিবার (২২ জানুয়ারী) দুপুরে বালুবাহী বাল্কহেটেচাদাঁবাজী করার সময় ট্রলার ও চাদাঁবাজীর টাকাসহ ইকবালকে (৩০) আটক করে পুলিশেসোপাদ্দ করে এলাকাবাসী। এ সময় ট্রলারে থাকা আরো ৩ চাদাঁবাজ এলাকাবাসীর ধাওয়াখেয়ে  পালিয়ে যায়। আটক ইকবাল হাসাইলবানারী ইউনিয়নের বিদগাঁও গ্রামের মৃত ইব্রাহিম বেপারীর ছেলে।
এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ আদালতের কোর্ট পুলিশের ইন্সপ্রেক্টর জামাল উদ্দিন ঢাকাপোস্টকে বলেন, চাদাঁবাজীর বিষয়ে দোষ স্বীকারমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আটক যুবক ইকবাল।সে শহিদুল ইসলাম এর আদালতে এ দোষ স্বীকারমূলক জবানবন্দি দেন।
জানাগেছে, মুন্সীগঞ্জের দিঘিরপাড়, হাসাইল, পাচঁনখোলা, পাচঁগাওঁ,গারুরগাওঁ,কলমা, ডহুরী পদ্মা নদীতে  দীর্ঘদিনযাবৎ ডাকাতি ও চাদাঁবাজি করে আসছিল একটি চক্র।   প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্তমালামালবাহী বাল্কহেটে চাঁদাবাজি করতো চক্রটি। রাত হলে এই চক্রটি যাত্রীবাহী ট্রলার পেলেকরে ডাকাতি।  এক একটি বাল্কহেট থেকে ২০০-৫০০টাকা পর্যন্ত চাঁদা নেয় চক্রটি। প্রতিদিন এই নৌ-পথ দিয়ে শত শত বাল্কহেট যাওয়া আসা করে। স্থানীয় মনির মেলকার জানান, বেশ কয়েকমাস যাবৎ উপজেলার হাসাইল,পাচনখোলা, পাচঁগাওঁ এলাকার  পদ্মা নদীতেযাতায়াতকরা বাল্কহেড , যাত্রীবাহী ট্রলার ও মাছ ধরার নৌকায় চাদাঁবাজি ও ডাকাতি করেআসছিল  একটি চক্র। এ বিষয়ে টঙ্গিবাড়ী  পুলিশকে জানালে তার কয়েকবার নদীতে নেমে অভিযানপরিচালনা করেন। কিন্তু পুলিশ নদীতে নামার আগেই চাদাঁবাজদের কাছে খবর পৌছে যেতো।যার কারনে চাদাঁবাজরা সতর্ক হয়ে যেতো। তিনি আরো জানান, রবিবার দুপুরে আমাদেরকাছে খবর আসে নদীতে বাল্কহেটে থেকে চাদাঁবাজি হচ্ছে। সাথে সাথেই এলাকার লোকজন নিয়েনদীতে গিয়ে চাদাঁ তোলা সময় ইকবাল নামের একজনকে আটক করি এ সময় ওই ট্রলারে থাকাআরো ৩ জন পালিয়ে যায়। এরপর থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে চাদাঁবাজকে নিয়ে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, দীর্ঘদিন ধরেই হাসাইল ইউনিয়নেরপাঁচনখোলা গ্রাামের মৃত চুন্নু বেপারীর ছেলে আজিজ বেপারীর নেতৃত্বে একটি চক্র দির্ঘদিনযাবৎ পদ্মা নদীর পাচঁনখোলা, পাচঁগাওঁ ও হাসাইল এলাকায় যাত্রীবাহী ট্রলাবে ডাকাতি ওমালামালবাহী বাল্কহেডে চাদাঁবাজি করে আসছিল।
এছাড়াও মাদক ব্যবসায়,চুরি,জুয়া, নৌ-ডাকাতিসহ সব ধরনের অপরাধে এই  আজিজের সমৃক্ততা আছে বলে জানাগেছে। প্রায় ৩ মাসআগে বিপুল পরিমান ইয়াবাসহ আটক হয়ে জেলখেটে উচ্চ আদালতের আদেশে জামিনে আসেআজিজ। এসেই ডাকাতি, চাদাঁবাজি, ইয়াবা ব্যাবসায় জড়িয়ে পরেন তিনি। তার নেতৃত্বে  টঙ্গীবাড়ী উপজেলার হাসাইল বানারী ইউনিয়নেরনগরজোয়ার ঘাট থেকে চাঁদা তোলেন রুবেল হালদার(৩৩), বিল্পব মল্লিক (১৮),  জুয়েল (৩০), জীবন, নাজমুল গাইন (৩৫)। এদেরতালিকা রবিবার হাসাইল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নুরুজ্জামানান দেওয়ান এলাকাবাসীর দেওয়া তথ্যঅনুযায়ী পুলিশের কাছে দিয়েছেন।
এছাড়া স্থাণীয় সুত্রে জানাগেছে, শাওন মাঝি(২৫),রিপনগংরা  পাচনখোলা এলাকায় চাদাঁ তোলেন।লৌহজংয়ের ভরাকুল  ঘাট থেকে চাঁদা তোলেনরাজু ঢালী, ফিরুজ, আজিজ গংরা ।
এ ব্যাপারে টঙ্গিবাড়ী থানা ওসি রাজিব খান বলেন, আটক ইকবালকে নিয়মিত মামলা‌ দিয়ে সোমবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হলে সে ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে দোষস্বীকারমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।
Print Friendly, PDF & Email
সংবাদটি শেয়ার করতে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*