শিরোনাম
Home / জেলার খবর / মুন্সীগঞ্জের পদ্মায় ২ শতাধিক ঘর বাড়ি বিলিন

মুন্সীগঞ্জের পদ্মায় ২ শতাধিক ঘর বাড়ি বিলিন

[ A+ ] /[ A- ]

বি.চিত্র ডেস্ক ঃ বিগত ৩ দিনের টানা বর্ষনে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং ওজান হতে নেমে আসা ঢলের পানিতে পদ্মায় ভাঙ্গন বৃদ্ধি পয়েছে। গত ১ সপ্তাহে টঙ্গীবাড়ী ও লৌহজং উপজেলার  প্রায় ২ শতাধিক বাড়িঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

ভাঙ্গন আতঙ্কে প্রতিদিনি পদ্মা পারের অনেক  বাড়ি নিরাপদে সড়িয়ে  নেওয়া  হচ্ছে। টানা বর্ষণের কারনে ঘরবাড়ি ভেঙ্গে অন্যত্র সড়াতে চরম দূর্ভোগে পরছে ভাঙ্গন  কবলিত এলাকার লোকজন। বৃষ্টিতে ভিজেই ঘর ভেঙ্গে অন্যত্র পারি দিতে হচ্ছে তাদের।

টঙ্গীবাড়ী  উপজেলার কামারখাড়া ইউনিয়নের বড়াইল, চৌসার, বাঘবাড়ি, জুনিষার গ্রামের প্রায় অর্ধশতাদিক বাড়িঘর বিলিন হয়ে গেছে।। এর আগে বড়াইল গ্রামের মসজিদটি শুক্রবার সন্ধ্যায় বিলিন হয়ে গেছে নদীতে। ৪ টি গ্রামের মানুষ ভাঙ্গন আতঙ্কে নিরাপদ স্থানে বাড়িঘর সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ১০ দিন ধরে নদীর পানি বেড়ে গিয়ে গ্রামগুলোতে পানি প্রবেশ করেছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছে এসব গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

চৌষার গ্রামের হাসান হোসেন বলেন, ‘নিজেদের ৪টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ভাঙ্গন আতংকে নিরাপদ স্থানে এসেছি। বড়াইল গ্রামে ৭ শতাধিক মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে অন্যত্র চলে গেছে।

বুধবার সকালে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা পরিষদের উদ্যেগে ক্ষতিগ্রস্থ ৩৮ পরিবারকে নগদ ৪ হাজার করে টাকা প্রদান করা হয়েছে।

টঙ্গীবাড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শহিদুল হক বলেন, ‘কামারখাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান থেকে ৬০ জনের একটি তালিকা পেয়েছি। এসব এলাকায় ত্রাণ এবং সাহায্যের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

 

লৌহজংয়ের পদ্মা তীরবর্তী খড়িয়া গ্রামের ২৫টি ঘর-বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। সাড়ে ৩ হাজার মানুষ এই গ্রামে বসবাস করে। নদী তীরবর্তী গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়ি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

 

গাওদিয়া গ্রামের আসাদ হোসেন বলেন, ‘পানি বেড়ে গিয়ে নিচু এলাকায় ঢুকে পড়েছে। এছাড়া ফসলি জমিতে পানি প্রবেশ করেছে। ভাঙ্গন আতংক নিয়ে এই গ্রামের মানুষ অসহায়ভাবে জীবন যাপন করছে। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে গ্রামের মানুষ আতংকে জীবন যাপন করছে।’

লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনির হোসেন জানান,  ত্রানের টাকা এবং চাল বিতরন করা হচ্ছে। এছাড়া গাওদিয়া এলাকার ভাঙ্গনে জিও ব্যাগ এবং ব্লক পদ্মা নদীতে ফালানো হবে। জেলা প্রশাসন থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বেড়ে যায়। বিপদ সীমার নিচে পানি থাকলেও পদ্মা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় গ্রামগুলোতে পানি ঢুকে গেছে।

জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা জানান, দুই উপজেলায় শতাধিক ঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে বলে জানা গেছে। জরুরী ভিত্তিতে ৭৫ মেট্রিক টন চাল এবং দেড় লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে চিঠির দেওয়া হয়েছে ভাঙ্গন মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।

Print Friendly, PDF & Email
সংবাদটি শেয়ার করতে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*