শিরোনাম
Home / লিড নিউজ / শ্রীনগরে থানায় নির্যাতনের অভিযোগ করে ১৫ দিন পর গৃহবধুর কপালে জোটল তালাকের নোটিশ

শ্রীনগরে থানায় নির্যাতনের অভিযোগ করে ১৫ দিন পর গৃহবধুর কপালে জোটল তালাকের নোটিশ

[ A+ ] /[ A- ]

আরিফ হোসেনঃশ্রীনগরে স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে এক গৃহবধুর কপালে জুটেছে তালাকের নোটিশ। থানায় অভিযোগের পর পুলিশ মামলা না নিয়ে এলাকার সালিশদার রুপি টাউট বাটপারদেরকে মিমাংসার দায়িত্ব দেয়। পরে সালিশদাররা মিমাংসার জন্য ওই গৃহবধুর কাছে ২ লাখ টাকা দাবী করে। এই সময়ের মধ্যে গৃহবধুর স্বামী তাকে তালাকের নোটিশ পাঠিয়ে পারি দিয়েছে ইতালী। ওই গৃহবধু অভিযোগ করেণ, শ্রীনগর থানার এসআই আপন দাস থানায় ডেকে এনে এক সালিশদারকে মিমাংসা করার জন্য সময় দিয়ে স্বামীর কুটকৌশল বাস্তবায়নের সুযোগ করে দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার কোলাপাড়া গ্রামের ইতালী প্রবাসী হুমায়ূন মিয়ার স্ত্রী রোকেয়া বেগম(৩৫) তার স্বামী ও স্বামীর পরিবারের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গত ৩ ফেব্রুয়ারী হারপিক পান করে আতœহননের চেষ্টা করে। হারপিক পানের পর তাকে প্রথমে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ঢাকার মিডফোর্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে গত ৫ ফেব্রæয়ারী রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে তার স্বামী ও স্বামীর পরিবারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটির তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীনগর থানার এসআই আপন দাস কোন ব্যবস্থা না নিয়ে ওই এলাকার সালিশদার গোলাম রসুলকে দায়িত্ব দেন। তিনি মিমাংসার জন্য ২ লাখ টাকা দাবী করেন বলে রোকেয়া বেগম অভিযোগ করেন। এই সুযোগে রোকেয়া বেগমের স্বামী তালাকের নোটিশ দিয়ে ইতালী চলে যায়।
রোকেয়া বেগম জানান, তার বাবার বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জে। ১৩ বছর আগে হুমায়ূন মিয়ার সাথে তার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে রিয়ামনি নামে ৯ বছরের একটি প্রতিবন্ধি কন্যাসন্তান রয়েছে। হুমায়ূণ ৪ বছর আগে রোকেয়ার বাবার টাকায় ইতালি যায়। প্রথমে ভাল আচরণ করলেও গত ১ বছর ধরে সে রোকেয়ার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। প্রায় ১ মাস আগে রোকেয়া খোঁজ নিয়ে জানতে পারে তার স্বামী দেশে অবস্থান করছে। এনিয়ে সে তার শশুরের উপর চাপ তৈরি করলে হুমায়ূণ বাড়িতে এসে রোকেয়ার সাথে সংসার করবেনা বলে জানিয়ে দেয়। এতে রোকেয়ার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরে। পরে হুমায়ূন ও তার পরিবারের লোকজনের সাথে রোকেয়ার কলহ শুরু হয়।

এব্যাপারে গোলাম রসুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি থানা থেকে মিমাংসার দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, টাকা দাবীর বিষয়টি সঠিক নয়।

শ্রীনগর থানার এসআই আপন দাস বলেন, এই বিষয়ে বাদীর সাথে গতকাল কথা হয়েছে। মিমাংসার জন্য যে সময় দেওয়া হয়েছে তার আরো দুই তিন দিন বাকী আছে। থানায় নির্যাতনের অভিযোগ দায়েরের পর প্রায় ১৮ দিন পেরিয়ে গেলেও কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দেননি।

Print Friendly, PDF & Email
সংবাদটি শেয়ার করতে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*