বিষধর সাপ আতঙ্কে বন্ধ করে দেওয়া হলো ক্লিনিক
নিজস্ব প্রতিনিধি- মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে বিষধর সাপ আতঙ্কে একটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখোন ওই ক্লিনিকের পাশের প্রাথমিক স্কুল ভবনে ক্লিনিকে সেবা প্রদান করা হবে।
জানাগেছে, উপজেলার রাঙ্গামালিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে গত বুধবার থেকে বিষধর সাপ দেখা দেয়। বৃহস্পতিবারেও আবারও সাপ দেখা দেয়। এতে বাধ্য হয় গত বুধবার থেকে ওই কিøনিকের স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হচ্ছিল বাহিরে। গত বৃহস্পতিবার ক্লিনিকটির ভেতর একসাথে ৭ টি বিষধর সাপের দেখা মিলে। সে সময় উৎসুক জনতা কয়েকটি সাপ মেরে ফেলে। এদিকে ওই ক্লিনিকে আবারও রোববার ৩টি সাপের দেখা মিলে। ওই সময় পাশের স্কুলের ছাত্র- শিক্ষক দলবেঁধে সাপগুলোকে ক্লিনিক থেকে বের হতে দেখে। এতে ওই এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
পরে উত্তর রাঙ্গামালিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি কল্পনা আক্তার বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে জানালে তিনি সাময়িক সময়ের জন্য সেবা নিতে আসা রোগীদের অন্য স্থানে সেবা প্রদান করতে বলেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া প্রর্যন্ত ক্লিনিকের ভেতরে সব কার্যক্রম বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেন। এ ঘটানায় আজ সোমবার ওই ক্লিনিক পরিদর্শণ করেছেন সিরাজদিখান উপজেলা আরএমও। এ সময় তারা আপাতত ওই ক্লিনিক বন্ধ রেখে পাশের উত্তর রাঙামালিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কক্ষে ক্লিনিকের সেবা প্রদান করতে বলেছেন।
ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা রোগী মিম আক্তার,আলো বেগম,হাবিবা,সিরাজুল হক,নিলুফা ও সায়না বেগম জানান, আমরা সাপের ভয়ে ক্লিনিকে সেবা নিতে যেতে পারছি না। সেখানে প্রতিদিন বিষধর সাপ দেখা যায়।
এ বিষয়ে ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইটর ( সিএইচসিপি) কল্পনা আক্তার বলেন, গত বুধবার প্রথমে সাপ দেখতে পাই। পরে আবার বৃহস্পতিবারও ক্লিনিকের ভিতরে সাপ দেখতে পাই। ওসময় এলাকার লোকজন ১টি সাপ মেরে ফেলে। বাকি সাপগুলো ক্লিনিকের ভিতরে পালিয়ে যায়। পরে আমি ক্লিনিকে কার্বন এসিড ব্যবহার করি। কিন্তু তারপরেও সাপ দেখা গেছে। পরে আমি উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নির্দেশে ক্লিনিকের ভেতরে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে অন্য স্থানে সেবা প্রদান করছি। তিনি আরো বলেন, এই ক্লিনিক ভবনটি খুব পুরাতন। সামান্য বৃষ্টি এলে পানি পরে। আমি উদ্ধতন কর্তপক্ষকে বিষয়টি জানালে আজ উদ্ধতন কর্তপক্ষ এই কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শন করে এখানে আর সেবা প্রদান না করে পাশের উত্তর রাঙ্গামালিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে সেবা প্রদান করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আঞ্জুমান আরা বলেন, আমি আজকেই বিষয়টি জানতে পেরে আরএমওকে ওই ক্লিনিকে তদন্তে পাঠাই। তদন্ত করে ক্লিনিকের কার্যক্রম পাশের একটি স্কুলে শিফট করা হয়েছে।