শিরোনাম
Home / লিড নিউজ / মুন্সীগঞ্জে দুই গ্রুপের সংর্ঘষে গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবক নিহত আহত ১০

মুন্সীগঞ্জে দুই গ্রুপের সংর্ঘষে গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবক নিহত আহত ১০

[ A+ ] /[ A- ]

মুন্সীগঞ্জে দুই গ্রুপের সংর্ঘষে গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবক নিহত আহত ১০

নিজস্ব প্রতিনিধি- মুন্সীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংর্ঘষে গুলিবিদ্ধ পারভেজ(২০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ সহ আরো ১০ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত গর্ভীর রাত ৩ টা থেকে শনিবার সকাল ৭ টা পর্যন্ত থেমে থেমে চলে এই সংর্ঘষ। এ সময় শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। রণক্ষেত্র পরিনিত হয় সদর উপজেলার চরাঞ্চলের চরকেওয়ার ইউনিয়নের খাসকান্দি ও ছোট মোল্লাকান্দি গ্রাম। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ রাব্বি (১৯) ও পারভেজ (২০)কে গুরুতর অবস্থায় প্রথমে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে‌ গেলে তাদের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে পথিমধ্যে মারা যায় গুলিবিদ্ধ পারভেজ (২০)।

স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, চরকেওয়ার ইউনিয়নের খানকান্দি ও ছোট মোল্লা কান্দি গ্রামের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মামুন হালদার-নজির হালদার গ্রুপের সাথে আহমদ গ্রুপের মধ্যে দির্ঘদিন যাবত বিরোধী চলে আসছিলো৷ সেই বিরোধকে কেন্দ্র করে এর আগেও কয়েক দফা সংর্ঘষের লিপ্ত হয় গ্রুপ দুটি। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার গভীর রাত থেকে আবারো বিবাদে জড়ায় দুই গ্রুপের সর্মথকরা বাধে সংর্ঘষ। মুহুমুহু ককটেল বিস্ফোরণে রণক্ষেত্র পরিনিত হয় গ্রাম দুটি। এতে গুলিবিদ্ধ দুইজনসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে৷ আহতদের মধ্যে পারভেজকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়। এছাড়াও শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনায় দুই গ্রুপের সন্ত্রাসীরা। ফলে আতঙ্কিত হয়ে পরে গ্রাম দুটির সাধারণ মানুষ। ভাংচুর হয়েছে ১০ থেকে ১২ টি বসতবাড়ী। বর্তমানে গ্রাম দুটিতে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

এ ব্যাপারে গুলিবিদ্ধ গ্রুপের আহমদ জানান,আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাতে মামুন হালদারের ভাই সেলিম হালদার গ্রুপের লোকজন আমার কর্মি সর্মথকদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে পারভেজ ও রাব্বিকে গুলি করে৷ সেই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে পারভেজ মারা যায়। এছাড়াও ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এসময় আমার কর্মিরা প্রতিরোধের চেষ্টা করলে তাদের উপর গুলি ছোড়ে এতে আমার এক কর্মি গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা নেয়ার পথে মারা যায় এবং অপর এক কর্মির গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে৷ এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে বাড়িঘরে৷

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ করেন মামুন হালদার। তিনি বলেন,শুক্রবার বিকাল থেকে আমাদের লোকজনকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলো আহমদ গ্রুপের সন্ত্রাসীরা। পরে রাতে আমার লোকজনের বাড়িঘরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটালে দুই পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ বেধে যায়। এতে আমার ৮ থেকে ১০ জন কর্মি আহত হয়েছে।

এ ব্যাপারে চরকেওয়ার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক  বলেন, আহাম্মেদ ও মামুন দুই জনই নিজেদের আওয়ামী লীগ নেতা দাবি করেন। তারা তো আমার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কোন সদস্য পদে নাই। আমার জানামতে আওয়ামী লীগে তাদের কোন পদ পদবী নাই।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের গ্রাম দুটিতে পুলিশি অভিযান চলছে। যারাই ঘটনার সাথে জড়িত থাকুক না কেন কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।

 

 

Print Friendly, PDF & Email
সংবাদটি শেয়ার করতে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*