শেখ রাসেল ফখরুদ্দীন:
১৯১৫ সালের ১১ ই পৌষ সোমবার ও ১২ ই পৌষ মংগলবার বিক্রমপুর সম্মিলন অতিশয় সমারোহে অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে ভারত বর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিক্রমপুরের সন্তানেরা বিক্রমপুর ছুটে আসে। দুদিন তারা বিক্রমপুরে তারা অবস্থান করে সম্মিলন সাফল্যমন্ডিত করে। ইতিহাস ঘেটে জানা যায় যে, এমন বিরাট সম্মেলন বিক্রমপুরে আর হয়েছে কিনা সন্দেহ রয়েছে। সম্মিলনের সভাপতি হিসেবে ১৯১৫ সালের ২৬ শে ডিসেম্বর বিজ্ঞানঅ জগদীশ চন্দ্র বসু সস্ত্রীক বিক্রমপুর আসবেন এই খবর পূর্বেই প্রকাশিত হয়ে গেলে গেলে ঢাকা, নারায়নগঞ্জ ও বিক্রমপুরের শত শত মানুষ নারায়নগঞ্জ লঞ্চঘাটে ভীড় জমায়েত করে ছিলো। স্টীমার নারায়নগঞ্জে ভিড়লে সকলে “জয় জগদীশ চন্দ্রের জয়” বলে জয়ধ্বনি দিতে থাকে। এসময় অর্ভ্যথনা কমিটির সভাপতি ততৎকালীন বিক্রমপুরের বিশিষ্ট দানবীর রায় শ্রীযুক্ত জানকীনাথ রায় বাহাদুর, কুমার প্রমথনাথ রায়,শ্রীযুক্ত যদুনাথ রায় সহ ভাগ্যকূলের প্রসিদ্ধ রায় পরিবারের কতিপয় সদস্য, শ্রীযুক্ত শিবেশ্রর
সেন, শ্রীযুক্ত কুমদীনি কান্ত গাংগুলী, শ্রীযুক্ত রত্নেশ্বর সেন, অর্ভথনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রীযুক্ত শৈলেনচন্দ্র বন্দোপাধ্যায়, ডাক্তার শ্রীযুক্ত কামাখ্যাচরন বন্দোপাধ্যায়, বিক্রমপুরের ইতিহাস লেখক যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত
স্টিমার ঘাটে বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসুকে অর্ভ্যথনা জানান। জগদীশ চন্দ্র বসুর সাথে
এই সম্মিলনে অংশগ্রহণ করতে সভার সম্পাদক শ্রীযুক্ত ভবরঞ্জন মজুমদার, বার্তাবহ সম্পাদক শ্রীযুক্ত অবনীকান্ত সেন কলকাতা থেকে এসেছিলেন। নারায়নগঞ্জ হতে তারা রায় বাহাদুরের লঞ্চ দিয়ে মুন্সীগঞ্জ আগমন করেন।
মুন্সীগঞ্জের চর কিশোরগঞ্জ থেকে পালকি দিয়ে তাদের মুন্সীগঞ্জ শহরে আনা হয়েছিলো। এসময় প্রায় পাঁচশত কর্মী বাহিনী নিরাপত্তারও অন্যান্য তদারকি করেছিলো। রাস্তার দুপাশ বিভিন্ন ফুল,কাগজ, গাছ পালা দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছিলো।