শিরোনাম
Home / টঙ্গীবাড়ী উপজেলা / টঙ্গীবাড়িতে ব্যবসায়ীর মৃত্যুর পর পালিয়ে যাওয়া মালিক কর্মচারীরা আর ফেরেনি হাসপাতালে,  সিলগালা 

টঙ্গীবাড়িতে ব্যবসায়ীর মৃত্যুর পর পালিয়ে যাওয়া মালিক কর্মচারীরা আর ফেরেনি হাসপাতালে,  সিলগালা 

[ A+ ] /[ A- ]

টঙ্গীবাড়িতে ব্যবসায়ীর মৃত্যুর পর পালিয়ে যাওয়া মালিক কর্মচারীরা আর ফেরেনি হাসপাতালে,  সিলগালা

নিজস্ব প্রতিনিধি -মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার বালিগাঁও বাজারের ডক্টর হসপিটালের ভুল চিকিৎসায়  ব্যবসায়ীর মৃত্যুর অভিযোগের পর পালিয়ে যাওয়া ওই হাসপাতালের মালিকসহ কর্মচারী কর্মকর্তারা। পরে পুলিশসহ প্রশাসন হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে মালিকপক্ষকে বারবার হাসপাতালে ফেরানোর চেষ্টা করলেও তারা আর ওই হাসপাতালে ফেরেনি।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আর হাসপাতালে না ফেরায় হাসপাতালটির সিলগালা করে দিয়েছে টঙ্গীবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। এদিকে ওই ব্যবসায়ীর মৃত্যুর পরে নিহতের আত্মীয়স্বজনরা হাসপাতালটি ঘিরে রাখে। যদিও তারা মৌখিকভাবে ওই হাসপাতালের অবস্থাপনা ও ভূল চিকিৎসার জন্য ব্যবসায়ীর মৃত্যু ঘটেছে দাবি করলেও তারা কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি।

বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও নিহতের স্বজনরা লিখিত অভিযোগ না করে নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই জোর করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ নিয়ে পুলিশ ও নিহতের স্বজনদের মধ্যে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। পরে নিহতের স্বজনদের অনুরোধে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেয় পুলিশসহ টঙ্গীবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

নিহত ব্যবসায়ী লিটন  দোকানদার  পার্শ্ববর্তী লৌহজং উপজেলার বাঁশিরা গ্রামের লতিফ দোকানদারের ছেলে। তিনি ঢাকার নিউমার্কেট এলাকায় কাপড়ের ব্যবসা করতেন।

নিহতের স্বজনরা জানায়, নিহত ব্যবসায়ীর পেটে  ব্যথা হলে  শনিবার (তের এপ্রিল) বিকাল ৪ টার দিকে তাকে ওই ক্লিনিকে নিয়ে আসে নিহতের স্বজনরা। নিয়ে আসার পরে ওই হাসপাতালের এক নার্স নিহত ব্যবসায়ীর শরীরে পরপর তিনটি ইঞ্জেকশন পুশ করেন। ইনজেকশন পুশের কিছুক্ষণ পরেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ব্যবসায়ী। পরে ওই হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকসহ মালিক কর্তৃপক্ষ পালিয়ে যায়।

এরও দুই মাস আগে ওই হাসপাতালের ভুল চিকিৎসায় লৌহজং উপজেলার গাউদিয়া গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ রয়েছে । ওই ঘটনার পরে ওই হাসপাতালের ওটি বন্ধ করে দিয়ে যান মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জন । কিন্তু তারপরে অনুমতি ছাড়াই  ওটি ব্যবহার করছিলেন ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এ ব্যাপারে ওই হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর রহমান বলেন, কোন ভুল চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। নিহত ব্যবসায়ী স্টক করেছিল । তার বুকে অনেক ব্যথা হচ্ছিল। ব্যথা কমানোর জন্য ইনজেকশন পুশ করা হয়েছিল। পরে তাকে ঢাকা নিয়ে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু রোগীর স্বজনরা তাকে ঢাকা নিয়ে যায়নি। এর আগে প্রসূতি মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ওই ঘটনার পরে সিভিল সার্জন সাময়িক সময়ের জন্য আমাদের ওটি বন্ধ করেছিল পরে আমরা আবার কাগজপত্র দেখিয়ে অনুমতি নেই ‌।

 

Print Friendly, PDF & Email
সংবাদটি শেয়ার করতে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*