শিরোনাম
Home / জাতীয় / পদ্মায় গোসলে নেমে পানিতে তলিয়ে গেল ৩ শিশু, একজনের মৃত্যু
রাজশাহী জেলা-যুগান্তর

পদ্মায় গোসলে নেমে পানিতে তলিয়ে গেল ৩ শিশু, একজনের মৃত্যু

[ A+ ] /[ A- ]

পদ্মায় গোসলে নেমে পানিতে তলিয়ে গেল ৩ শিশু, একজনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিনিধি -রাজশাহীর বাঘায় পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে সিয়াম হোসেন সজিব (১০) নামের আবারও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আরও দুই শিশুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্র ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার পদ্মা নদীর মুশিদপুর খেয়া হাটে গোসলে নেমে এ ঘটনা ঘটে। সিয়াম হোসেন সজিব উপজেলার খায়েরহাট গ্রামের সুজন আলীর ছেলে।

জানাগেছে, সিয়াম হোসেন সজিব একই গ্রামের তার দুই বন্ধু সজল হোসেন (৮) ও লামিন আহমেদকে (৭) সাথে নিয়ে পদ্মা নদীর মুশিদপুর খেয়া হাটে গোসল করতে যায়। এ সময় তারা গোসলে নামার পর সিয়াম হোসেন সজিব পানিতে তলিয়ে যেতে দেখে সজল ও লামিন চিৎকার শুরু করে তাকে উদ্ধার করতে যায়। তাদের চিৎকারে মুশিদপুর গ্রামের হাফিজুর রহমানসহ এলাকার লোকজন এগিয়ে এসে তিন শিশুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে সিয়াম হোসেন সজিবকে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে। সজল ও লামিনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকে ভর্তি করা হয়েছে।

 

এ বিষয়ে বাঘা পৌরসভার মুশিদপুর মহল্লার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবু জাহিদ বলেন, নিখোঁজ তিন শিশু বাড়ির পাশে খেলাধুলা করতে করতে মুশিদপুর খেয়া ঘাটে গোসল করতে নেমে একজন মারা গেছে। দুইজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্য্র ভতি করা হয়েছে।

তবে এ বিষয়ে ঘটনাটি জেনেছেন বলে বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান।

উল্লেখ্য, ১৪ এপ্রিল চকরাজাপুর ইউনিয়নের চৌমাদিয়ার মানিকের চরের পদ্মা নদীর ঘাটে গোসলে নেমে ঝিলিক ও জান্নাতী খাতুন নামের দুই শিশু নিখোঁজ হয়। এরমধ্যে ২৩ ঘন্টা পর জান্নাতীর লাশ উদ্ধার হলেও ঝিলিকের লাশ ৬ দিনেও পাওয়া যায়নি। জান্নাতী খাতুন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বাংলা বাজার চর এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম মন্ডলের মেয়ে এবং ঝিলিক চুয়াডাঙ্গার জয়দেবপুরের পাটঘাট গ্রামের মনির উদ্দিনের মেয়ে। তারা পরস্পর খালাতো বোন। তারা চৌমাদিয়ার মানিকের চরের আবদুল মান্নানের মেয়ে হালিমার ঈদের পরের দিন বিয়ে খেতে এসে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে এ ঘটনাটি ঘটে।

Print Friendly, PDF & Email
সংবাদটি শেয়ার করতে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*