সালাহউদ্দিন সালমান
❑
একটি উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম সুমন রেজা জুম্মন নামের সাথেই কেমন যেন একটা বিস্ময় জড়িয়ে আছে যারা জুম্মনকে একেবারে কাছে থেকে দেখেছে যারা জুম্মনের সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন তারা ঠিক বলতে পারবেন এই ধ্রুবতারার মেধা শক্তি আর কর্মের দৃঢ়তার কথা! এশিয়া মহাদেশের সর্বকনিষ্ঠ ফাইট ডিরেক্টর সুমন রেজা জুম্মনের ৩৯ তম জন্মদিন আজ ব্যক্তি জীবনে ঘটাকরে এই দিনটি পালন না করলেও দর্শক স্রোতা তার ভক্তবৃন্দ শুভানুধ্যায়ীরা ঠিকই দিনটিকে মনে করে উতসাহ অনুপ্রেরণা দেবার জন্য ভিবিন্ন গিফট নিয়ে হাজির হন ভিবিন্ন মাধ্যমে বাংলাদেশ চলচ্চিত্রে ভিন্নমাত্রার এ্যাকশন নিয়ে কাজ করা সময়ের আলোচিত ফাইট ডিরেক্টর সুমন রেজা(জুম্মন) এর কাছে! ঐতিয্যবাহী বিক্রমপুরের অন্য সব সম্মানিত স্বনামধন্য ব্যক্তিবিশেষের মতো আলোকিত হলেও এশিয়া মহাদেশের সর্বকনিষ্ঠ চলচ্চিত্র ফাইট ডিরেক্টর সুমন রেজা জুম্মন অনেকটাই নিভৃতচারী‚নিজের কাজের তুলনা অনুযায়ী অন্যদের মতো ডামাঢোল পিটিয়ে নিজেকে জাহির করার অভ্যাস তার নেই!
যার ফলশ্রুতিতে বর্তমান চলচ্চিত্রে তার অবস্থান খুবই পাকাপোক্ত এব স্বমহিমায় উজ্জ্বল! মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার বিক্রমপুরের চাঁন্দের চর গ্রামে আব্দুল মালেকের ছেলে সুমন রেজা(জুম্মন)। জন্ম ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ আগানগর ছোট মসজিদ ১৭ ফেব্রয়ারী ১৯৮০ সালে।বাল্যকাল থেকেই বাংলা চলচ্চিত্রের প্রতি ছিলো তার অসম্ভব দূর্বলতা সময় পেলেই লেখাপড়ার ফাকে বাংলা সিনেমার মাঝে একাগ্রতায় ডুবে যাওয়া ছিলো তার নিত্যনৈমিত্তিক অভ্যাস, ছিলো বাংলা সিনেমায় কাজ করার মনোযোগ মনোবল ও সীমাহীন উন্মাদনা কিভাবে চলচ্চিত্রে একজন নিবেদিত অভিনেতা এবং পাকাপোক্ত স্ট্যান্ডম্যান হিসেবে চরিত্র দাঁড় করা যায়‚চিন্তাচর্চা ও চেতনায় ছিলো বাংলা চলচ্চিত্রের একজন হয়ে দেখানো যার ধ্রুব প্রমাণ আজকের সুমন রেজা জুম্মন।
কতশত দিন সময় ক্ষণ বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে চলেছে তার একনিষ্ঠ অনুশীলন যার কোন ইয়াত্তা নেই!যার পরিপ্রেক্ষিতে আর বাংলা সিনেমায় নিজের আগ্রহের বহিঃপ্রকাশ গঠাতে তার খালাতো ভাই আনোয়ার এর হাত ধরে ১৯৯৫ সালে স্ট্যান্টম্যান হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত আরমান ফাইটিং গ্রুপে অভিষেক ঘটে। নিজের কাজ ও মেধার ফলশ্রুতিতে একপর্যায়ে তিনি আরমান ফাইটিং গ্রুপের সহকারী ফাইট ডিরেক্টর হিসেবে নিজের স্থান অর্জন করে। বর্তমানে তার নিজের কাজের যোগ্যতায় চলচ্চিত্র অঙ্গনে গড়ে তুলেন “ জুম্মন” ফাইটিং গ্রুপ। সুমন রেজা(জুম্মন)এর চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ততকালীন সময়ের সুপারস্টার চিত্রনায়ক সালমান শাহ অভিনিত,শাহ আলম কিরণ পরিচালিত “বিচার হবে” ছবিতে। জননন্দিত আরমান ফাইটিং গ্রুপের সহকারী ফাইট ডিরেক্টর হিসেবে মুস্তাফিজুর রহমান বাবু পরিচালিত মনোয়ার হোসেন ডিপজল প্রযোজিত চিত্রনায়ক রিয়াজ,শাকিল খান ও শাবনূর অভিনিত “মন” ছবিতে।
এ পর্যন্ত চলচ্চিত্র কাজের সংখ্যা ৭০২টি।এবং টেলিভিশনেও বেশ কিছু নাটক ‚ টেলিফিল্ম ও বিজ্ঞাপন করে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন। সুমন রেজা(জুম্মন) এর নিজস্ব একক ফাইট ডিরেকশন আবির্ভাব ২০১৪ তে ইফতেখার চৌধুরী পরিচালিত পিংকি চলচ্চিত্রের “এ্যাকশন জেসমিন” চিত্রনায়িকা ববি ও সায়মন অভিনীত এ ছবিসহ তার একক নিজের ডিরেকশনে করা ছবির সংখ্যা ৪৯ টি‚ইদানিংকালে তিনি করেছেন বিজলী‚পবিত্র ভালোবাসা‚আতংক‚আব্বাস‚অফিসার রিটার্নস‚দুলালের মুখ দেখি‚জঙ্গী‚প্রেমের চুড়ি’র মতো কিছু চলচ্চিত্র । বাংলা চলচ্চিত্রে কাজ করতে গিয়ে সুমন রেজা(জুম্মন) এর স্মরণীয় অসংখ্য দুর্ঘটনার মধ্যে একটি হলো সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত,শাকিব খান অপু বিশ্বাস ও মিশা সওদাগর অভিনীত “এক মন এক প্রাণ” ছবিতে মিশা সওদাগরের গ্লাসজাম্প দিতে গিয়ে গ্লাস ভেঙ্গে দুই ইঞ্চি ডুকে যায় তার পিঠে যা ফুসফুস অব্দি স্পর্শ করে, সুমন রেজা(জুম্মন) মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়েছেন প্রায় ১৩ দিন। মহাখালী বক্ষব্যাধি হাসপাতালে প্রফেসর আব্দুল রাজ্জাক সাহেবের নিবিড় তত্বাবধানে চলচ্চিত্রের কলাকুশলী ও তার ফ্যামিলির দোয়ায় তিনে বেচেঁ আসেন। বাংলা চলচ্চিত্রের কাজে ভিবিন্ন সময় দেশ ভ্রমণ করতে হয়েছে সুমন রেজা(জুম্মন) কে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর,ইন্ডিয়া, নেপাল, থাইল্যান্ড,এবং সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এই মাসেই আবার যাচ্ছে,আইসল্যন্ডে সুমন রেজা(জুম্মন)এর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা চলচ্চিত্রের প্রেমীদের ভালোবাসা ও দোয়া নিয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের একজন ভালো মাপের ফাইট ডিরেক্টর হতে চান। ঠিক তার ওস্তাদ আরমান সাহেবের মতোই ব্যক্তিজীবনে চুপচাপ থাকলেও তার মেধা আর খ্যাতি কিন্তু চুপ থাকেনি তার জন্মদিনটি আমাদের জানা হয়ে গেছে তাই আজ এই মানুষটির জন্মদিনে রইলো লাল গোলাপের শুভেচ্ছা।